অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি বলেছেন, সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা বা এসসিও’র বিস্তার এবং এটির সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে এই সংস্থার সক্ষমতা ও সামর্থ্য বেড়েছে। তেহরান সফররত এসসিও’র মহাসচিব ঝাং মিং-এর সঙ্গে এক বৈঠকে প্রেসিডেন্ট রায়িসি এ মন্তব্য করেন।
ইরানের নির্বাহী বিভাগের প্রধান বলেন, সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার সদস্য দেশগুলোর রয়েছে উল্লেখযোগ্য জনশক্তি, সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক সম্পদ এবং বিশাল ভৌগোলিক সীমারেখা। এসব উপাদান সংস্থাটির জন্য অসাধারণ সামর্থ্য ও সক্ষমতা তৈরি করেছে যা একমেরুকেন্দ্রিক বিশ্বব্যবস্থা মোকাবিলা এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বহুমেরুকেন্দ্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় কাজে লাগানো সম্ভব।
২০০১ সালে চীন, রাশিয়া, উজবেকিস্তান, কাজাখস্তান, কিরঘিজিস্তান ও তাজিকিস্তানকে নিয়ে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা গঠিত হলেও বর্তমানে এর মূল সদস্যদেশ ৮টি এবং পর্যবেক্ষক দেশ ৪টি। এই সংস্থাভুক্ত দেশগুলোতে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার শতকরা ৪০ ভাগের বসবাস এবং বিশ্বের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) শতকরা ২৮ ভাগই এসব দেশের।
ইরানকে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় ২০২২ সালের মার্চ মাসে। একই বছরের সেপ্টেম্বরে ইরান সংস্থাটিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য একটি সমঝোতাপত্রে সই করে। এর একমাস পর ইরানের পার্লামেন্ট সাংহাই সহযোগিতা পরিষদে দেশটির অন্তর্ভুক্তিতে সম্মতি জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস করে।
এসসিও’তে ইরানকে পূর্ণাঙ্গ সদস্যপদ দেয়ার প্রক্রিয়া আগামী মাসে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠেয় পরবর্তী শীর্ষ সম্মেলনে সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এসসিও’র মহাসচিবের সঙ্গে সাক্ষাতে প্রেসিডেন্ট রায়িসি এ সম্পর্কে বলেন, সংস্থাটিতে তার দেশ সদস্যপদ লাভ করলে আঞ্চলিক সহযোগিতা শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি সংস্থাভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের বাণিজ্যিক লেনদেন উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বেড়ে যাবে।
ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতে এসসিও’তে তার দেশের অন্তর্ভুক্তি সংক্রান্ত প্রক্রিয়ার সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরেন সংস্থাটির মহাসচিব ঝাং মিং। তিনি আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নে ইরানের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা স্মরণ করে বলেন, ইরানের অন্তর্ভুক্তির ফলে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা আরো সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী হবে।
Leave a Reply